যৌনতায় যখন পরিচয়/১
— অবকাশে সঞ্জয়
একটি হোটেলে রুম বুক করতে গিয়ে রেজিস্টারে নাম ঠিকানা বয়স সবকিছু লিখেছি। কিন্তু সেক্সের কলমে কিছু লিখিনি। ইচ্ছে করেই। রিসেপশানিস্ট ভদ্রমহিলা দেখে ভেবেছেন আমি ওভারলুক করে গিয়েছি। তাই উনি প্রশিক্ষিত হাসি হেসে নিজেই পেন দিয়ে ‘এম’ লিখে দিলেন।
এবার আমার প্রশ্ন, আপনি জানলেন কি করে আমার সেক্স মেল?
উনি একটি অপ্রস্তুত। না মানে স্যার, আপনাকে দেখে তো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তাই…
কি দেখে বুঝলেন?
মানে! আপনার চেহারা। পোশাক আশাক সবকিছুতেই…
সেক্স তো ভিতরকার ব্যাপার। বাইরের চেহারা বা পোশাক দেখে বোঝা যায় কি?
অত তো জানি না স্যার। সবাই যেভাবে বোঝে আমিও সেভাবেই… আসলে স্যার, আমরা তো আর আপনার মতো কবি সাহিত্যিক নই যে…
বুঝলাম, আমি একা এই নির্জন জায়গায় বেড়াতে এসেছি দেখে উনি অনুমান করেছেন যে আমি কবি বা সাহিত্যিক ছাড়া অন্য কিছু হতেই পারি না। মৃদু হাসি হেসে ওর দিকে তাকালাম। তারপর মৃদুস্বরে বললাম, আচ্ছা আমার ওই সেক্স লেখাটা কি খুব জরুরী?
হ্যাঁ স্যার… বিকজ…
বিকজ?
স্যার, আই থিংক, সেক্স একজন মানুষের পরিচয় বহন করে।
তাই নাকি! কিন্তু আমি তো জানি মানুষের পরিচয় তার কৃষ্টি, সৃষ্টি, সৃজনশীলতায়। আর সেক্স তার গোপনীয় কার্যকলাপ।
হ্যাঁ, তাও ঠিক। বাট স্যার, ইট’স আওয়ার ফরমালিটি। কাইন্ডলি কো-অপারেট উইথ আস স্যার।
হা হা হা, ওয়েল সেড।
থ্যাংক ইউ স্যার। তাহলে কি লিখব স্যার?
অ্যাজ ইউ লাইক। কারণ আমার দেশ এখনো আমার যৌনতা আমাকে ঠিক করার অধিকার দেয় নি।
[ছবিঃ অরূপ দাস]