কাঁচালঙ্কা

যৌনতায় যখন পরিচয়/ ৭

যৌনতায় যখন পরিচয়/ ৭

অবকাশে সঞ্জয়

পুরুষের বিপরীত শব্দ কি?
নারী।
কিন্তু কেন?
কেন মানে…!
বিপরীত শব্দ বলতে তো পরস্পরের বৈপরীত্য বোঝায়। বিপরীত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। যথা দিনের বিপরীত রাত। কারণ দিন বললেই যেমন আলোকোজ্জ্বল সময় বোঝায় তেমনি রাত মানেই অন্ধকারোজ্জ্বল ক্ষণ। সেইভাবে পুরুষ নারীর কি এমন বৈশিষ্ট্য আছে যা পরস্পরের বিপরীতময়?
শারীরিক গঠন বিপরীত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। তাই তারা পরস্পরের বিপরীত।
তাহলে মানুষকে বিচারের মাপকাঠি তার কৃষ্টি,সৃষ্টি, মন মানসিকতা,বিচার,বুদ্ধি এসব নয়, তার শারীরিক যোগ্যতাই তার আসল মাপকাঠি। এটাই বলতে চাইছো তো?
না, ঠিক তা নয়…
বা রে, তুমিই তো বললে… শারীরিক যোগ্যতার বিচারে পুরুষের বিপরীত নারী।
হ্যাঁ, কিন্তু…
আর কি কিন্তু থাকতে পারে বলো। আমরা কি কোনদিনও বলতে পারবো নারী পুরুষ পরস্পরের বিপরীত নয় ?
কেন পারবো না? আলবাৎ পারবো। নারী পুরুষ এখন সমান সমান।
না গো, আমাদের দেশে মানুষের পরিচয় তার যৌনতায় বিচার হয়। আর সেই বিচারে এই সমাজ চিরকাল শেখাবে পুরুষের বিপরীত নারী। পাঠ্যবইও তাই লিখবে।
নাঃ! বিপরীত শব্দ শেখাতে গিয়ে নীচে বি.দ্র. দিয়ে লিখতে হবে সব শব্দের বিপরীত হয় না। বিশেষত মনুষ্যবাচক শব্দগুলির। আমরা করব এই নিয়ে প্রতবাদ।
হোক প্রতিবাদ। সেটাই তো চাই। যদি তাই হয়, তবেই দূর হবে লিঙ্গবৈষম্য।

 

 

[ছবিঃ ভুটান এবং অরূপ]

Exit mobile version