কাঁচালঙ্কা

সমর্পণ মাইতিকে ভোট দাও। এক বাঙালীকে মিঃ গে ওয়ার্ল্ড বানাও।

সমর্পণ মাইতিকে ভোট দাও। এক বাঙালীকে মিঃ গে ওয়ার্ল্ড বানাও।

প্রিয় বন্ধু সমর্পণ,

বিশ্বের দরবারে ভারতবর্ষের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছো তুমি, এ আমাদের সকলের জন্যে এক দারুণ ব্যাপার।
আশা করবো এই খেতাব তোমার সাথে সাথে আমাদের সকলের পুটুলিতে আসুক, আমরা বাঙ্গালী হিসেবে আরেকবার বলে উঠি, হ্যাঁ, আমরাই পারি।
কাঁচালঙ্কা যেহেতু বাংলা ভাষায় কাজ করে, আমাদের প্রচেষ্টা হবে, যাতে বাংলায় যতোটুকু সম্ভব তোমার পক্ষে দাঁড়ানো এবং বেশী বেশী ভোট সংগ্রহ করা। এর মাধ্যম হবে তোমার আমার ভাষা,… দেশ গণ্ডী নয়। চেষ্টা করছি কিছু সহজ সরল প্রশ্ন রাখার, আর তার উত্তর খোঁজার। একসাথে পথ চলার শুরু আগেই হয়েছে, কারন কোথাও আমরা সহযোদ্ধা তো বটেই, শুধু সেটুকু এগিয়ে নিয়ে চলা। এভং আরো এগিয়ে, আমরা বন্ধুও বটে। অতএব বন্ধুত্বের দাবীতে সরাসরি প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করা যাক এবার।
এভাবেই সহজ সরল কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলাম সমর্পণের উদ্দেশ্যে, তার উত্তরগুলিও একে একে পাঠিয়েছে ও। ওর উত্তরে ফুটে উঠেছে সারল্যের সাথে সাথে ভবিষ্যতে লিঙ্গ-যৌন-প্রান্তিক মানুষদের জন্যে কিছু করে যাওয়ার আত্মপ্রত্যয়। না সমর্পণ কোন নেতা নয়, ওর কোন ইস্তেহার ছাপা নেই। কারন ও যে আমাদেরই মতো সাধারণ। কিন্তু এই সাধারণ মানুষের মনে দানা বেঁধে আছে কিছু অসাধারণ স্বপ্ন। তাই আমাদেরও আর্তি সকল বন্ধুদের কাছে, সমর্পণের পাশে এসে দাঁড়াও, যাতে ও আরো বেশী করে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারে।
বন্ধু, তোমার জন্যে রইলো অনেক শুভকামনা। আশা করি তোমার মাথাতেই জ্বলজ্বল করুক মিঃ গে ওয়ার্ল্ডের মুকুট। ভালো থেকো, সং-“গে” থেকো। 🙂


কাঁচালঙ্কাঃ হঠাৎ মিঃ গে ওয়ার্ল্ড কেন?
সমর্পণঃ এর মূলত দুটো কারণ। প্রথমত, ছোটবেলা থেকে নিজের সমকামী যৌনতাকে লুকিয়ে দাবীয়ে বড়ো হয়ে ওঠা। তারপর নিজেকে মেনে নিয়ে সবার সামনে আত্মপ্রকাশ। কিন্তু কোথাও এখনও মনে হয়, যাই না, গোটা দুনিয়াটার সামনে গিয়ে বলিনা, যে, হ্যাঁ আমি সমকামী, আমার এর জন্যে কোন ক্ষোভ নেই, কোন দুঃখ নেই। নিজের আপনস্বত্বাকে নিজেই তো দিনের পর দিন কষ্ট দিয়েছি। দেখি না, তাকে এভাবে সকলের সামনে নিয়ে আসতে পারলে যদি সেটুকু কোথাও একটু কম হয়। দ্বিতীয়ত, এই বিশ্বের খেতাবগুলোর জন্যে তো বরাবর মুখিয়ে থাকে পশ্চিমা দুনিয়ার মানুষেরা, তাদের বেশীরভাগ উচ্চবিত্ত। অন্যদিকে আমি মেদিনীপুরের নাম-না-জানা গ্রাম থেকে উঠে আসা এক মানুষ। জীবিকাসূত্রে গ্রাম, মফঃস্বল, শহরাঞ্চল ঘুরেছি। খুব কাছ থেকে দেখেছি মানুষের জীবনযাত্রা, আর জায়গাবিশেষে তার ভিন্নতা। গ্রামের এলজিবিটি+ অথবা লিঙ্গ-যৌন-প্রান্তিক মানুষ আর শহরের লিঙ্গ-যৌন-প্রান্তিক মানুষদের জীবনযাত্রা কিন্তু অনেকটাই আলাদা। অনেকেই আছে যারা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া, তাদের নিয়ে কাজ করার কেউ নেই। আমি একবার বিশ্বের দরবারে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দাঁড়াতে চাই, চেঁচিয়ে বলতে চাই তাদের কথা। জানান দিতে চাই তাদের অস্তিত্ব। কারণ সবাই তো মানুষ, সবাইই যে গুরুত্বপূর্ণ। সবারই নিজের মানবাধিকার নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে।

কাঁচালঙ্কাঃ এই খেতাব জিতলে কি করবে?
সমর্পণঃ এখানে একটা জিনিশ কিন্তু আগে ভেবে দেখার আছে। আমি এমন একটা দেশের বাশিন্দা, যেখানে এখনও ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া ৩৭৭ ধারার মতো মানবাধিকার-বিরোধী আইন আছে। আমার রাষ্ট্র আমায় বলে দেয় আমি কাকে ভালোবাসতে পারবো, আর কাকে পারবোনা। নিজের ভালোবাসাকে শরীরি প্রেমে নিজের ভালোবাসার মানুষটার কাছে প্রকাশ করলে, আমি হয়ে যাই আইনের চোখে একজন অপরাধী। এই ধারাকে পাল্টাতেই হবে। আমার মনে হয় একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে যদি আমি মিঃ গে ওয়ার্ল্ডের খেতাব পাই, তাহলে রাষ্ট্রের কাছে স্পষ্ট একটা ইঙ্গিত যাবেই। হয়তো এতে ভারত তথা বাকি যেসকল দেশ ৩৭৭ ধারার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের কিছুটা সুবিধে হলেও হতে পারে। আর যেমন আগেও বললাম, আমি মূলত গ্রামবাংলার আর কিছুটা মফঃস্বলেও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্যে কাজ করতে চাই। তুমি জানোনা ওখানের অবস্থা, শহরের অনেক এলজিবিটি নামকরা বাঘাবাঘা লোকেও হয়তো জানেনা। ওখানে মানুষ এখনও সমকামিতা কি তাই জানেনা। এটা যে একটা সেক্স্যুয়াল ওরিয়েন্টেশণ, বা যৌন-অভিমুখতা, সেটা নিয়ে তাদের কোন ধারণাই নেই। ওরা ভাবে এটা পাপ, ভাবে বিয়ে করলে বোধহয় সব ঠিক হয়ে যাবে। তাই তাদের নিয়ে কাজ করাটা সাংঘাতিক দরকার। এবার মুশকিল হচ্ছে, দুঃখজনকভাবে, নামের পাশে কোন তকমা সাঁটা না থাকলে কিছু করতে গেলেই হাজারো সমস্যা। একটা তকমা যদি থাকে, বিশেষত মিঃ গে ওয়ার্ল্ডের মতো কোন কিছু, তাহলে হয়তো আরো সহজে এই কাজগুলো করতে পারবো। লোকে শুনবে আমার কথা, ডাকলে অনেকে সাড়া দেবেন, পাশে এসে দাঁড়াবেন। বুঝতেই পারছো কাজটা অনেক বড়ো, আমার একার পক্ষে করা অসম্ভব।

কাঁচালঙ্কাঃ ভারতবর্ষ তথা বাকি দক্ষিণ এশিয় দেশগুলিতে, যেখানে ৩৭৭ এখনো বলবৎ, সেরকম জায়গা থেকে উঠে এসে মিঃ গে ওয়ার্ল্ডের খেতাবের জন্যে লড়াই!! ঠিক কিরকম ছিলো এই পথ চলা?
সমর্পণঃ লড়াই অনেকটাই ছিলো। আর এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার আগে ভাবতেও হয়েছিলো বেশ কিছুটা। দেখো, আমি সমকামী সেটা তোমরা আমার কিছু বন্ধুরা জানো, আর আমার পরিবার জানে, এটুকুই। তার বাইরে এসে গোটা বিশ্বের সামনে এসে এটা বলা, ভাবছিলাম, এর জন্যে ঠিক কি কি হতে পারে? আমার উপরে আঘাত আসলে শুধু একটা কথা ছিলো, একজন মানুষ হিসেবে নিজের অধিকার নিয়ে লড়াই করছি, করবো। কিন্তু আঘাতটা আমার বাড়ির লোকেদের উপরেও আসবে না তো? আমার মা, আমার বোন। কিন্তু ভাবলাম, নাহ! এগিয়ে তো আসতেই হবে। কাউকে না কাউকে। আজ যদি একজন গ্রাম্য মধ্যবিত্ত ঘর থেকে আমি বেড়িয়ে এসে এভাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারি, হয়তো সেটা দেখে আরেকজন, তারপরে আরেকজন, এভাবেই সবাই ধীরে ধীরে তারা-যেটা-নয় সেই জীবনটা ছেড়ে নিজের আসল জীবনটাকে বাঁচতে পারবে। আর লড়াই তো সবাইকেই করতে হয়, তাই না? মেয়েরা আজ নিজেদের অধিকার নিয়ে লড়ছে, দলিতেরা নিজেদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। এমনকি একজন যোগ্য মানুষ পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পাওয়ার জন্যেও তো সেই লড়াইটাই চালিয়ে যাচ্ছে। কি? তাই তো?

কাঁচালঙ্কাঃ তোমার বোনের বিয়েতে এলজিবিটি+ গোষ্ঠীর অনেকেই নিমন্ত্রিত ছিলো, কেমন ছিলো সেই অভিজ্ঞতা? বাড়িকে কি করে রাজি করালে?
সমর্পণঃ এতে ঠিক কোন সমস্যা হয়নি, কিন্তু একটা ভয় ছিলো। ভয়টা কিরকম জানো? মানে এই ধর, সমকামীরা দেখতে শুনতে আর পাঁচজন মানুষের মতো, তাদের দেখে অতোটা বোঝা যায়না, কিন্তু আমি আমার অনেক রুপান্তরকামী বন্ধুদেরও নিমন্ত্রণ করেছিলাম। ভয় ছিলো তারা যাতে কোনভাবে অপমানিত না হয়। এর জন্যে বাড়িতে বোঝালাম, ট্রান্সজেন্ডার কি, কেন তারা ট্রান্সজেন্ডার। তাদের যাতে কোনভাবে অসম্মান না করা হয় সেই অনুরোধ রাখলাম। মা-কে আর বোন-কে অনেক জ্ঞান দিলাম। ওমা! পরদিন দেখি, মা-ই আবার কাকিমা, মাসী এদের সাথে এই নিয়ে কথা বলছে। তাদের বলছে, দেখো ওরা আসবে, ওরা কিন্তু বাকিদের মতোই আমাদের অতিথি। ওদের কোন অসম্মান হলে কিন্তু আমাদের অসম্মান। তো যাই হোক। তারপরে আর কোন সমস্যা হয়নি। আমার ট্রান্সজেন্ডার বন্ধুরা এসেছে, থেকেছে, গায়ে হলুদ থেকে সব আচার অনুষ্ঠানে তারা ছিলো। মাকে সাজিয়ে দিয়েছে, বোনকে সাজিয়ে দিয়েছে। আর শুধু রুপান্তরকামী বন্ধুরাই কেন, অনেক এলজিবিটি বন্ধুরাই এসেছিলো। সবাই একসাথে আমরা খুব মজা করেছি বিয়ের দিনগুলো। আর আমার বাড়িতে এটা বিস্বাস করে যে আমি এমন কিছু কক্ষনো করবোনা, যাতে পরিবার বা সমাজের ক্ষতি হয়। তাই তাদের বোঝাতে আমার তেমন কোন সমস্যাই হয়নি।

কাঁচালঙ্কাঃ ক্যান্সার নামক মারণরোগ নিয়ে রিসার্চ করার প্রেরণা পেলে কোত্থেকে?
সমর্পণঃ আমার বাবা। আসলে ছোট থেকেই দেখেছি যখনই কেউ নোবেল পুরষ্কার পেতো বাপি আমায় দেখাতো, পেপার কাটিং করে রেখে দিতো। তাই এই রিসার্চের ব্যাপারে আগ্রহ বরাবরই ছিলো। ছোটবেলায় দুটো প্রিয় বিশয় ছিলো। বায়োলজি (জীববিদ্যা) আর অ্যাস্ট্রোনমি (জ্যোতির্বিদ্যা)। আর এটা দেখেছি জীবনে কোন না কোন ভাবে ঠিক যেটা করতে চেয়েছি, সেটাই করেছি। ইচ্ছা ছিলো রিসার্চ করবো আর ক্যানসার নিয়েই রিসার্চ করবো। আসলে আগেও মনে হতো, এখনও মনে হয়, একটা অসুখ, যাকে আমরা কেউ কাবু করতে পারছিনা। চোখের সামনে শিশুরা অবধি মারা যাচ্ছে। কিচ্ছু কি সত্যিই করার নেই? তাই হয়তো এই পথ বেঁছে নেওয়া। এটা ঠিক আমার প্রফেশান নয়, প্রফেশান হিসেবে আমি এটাকে দেখিওনা।

কাঁচালঙ্কাঃ দক্ষিণ এশিয়ার, বিশেষত ভারত এবং বাংলাদেশের এলজিবিটি+ মানুষদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি তুমি আশাবাদী?
সমর্পণঃ হ্যাঁ, আমি বরাবরই খুব আশাবাদী মানুষ। তবে ভারত আর বাংলাদেশের পরিস্থিতি একটু আলাদা। বাংলাদেশে যেভাবে ধর্মীয় মৌলবাদ ঘাঁটি গেড়েছে, সেটা সাংঘাতিক। ভারতেও যদিও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে বেশকিছু ঘটনা বেশ খানিক চিন্তায় ফেলে, তবুও এখানে কিন্তু অনেকটাই পাল্টেছে সমাজ। গত ৫ বছরই ধরে নাও। চোখের সামনে অনেক কিছু পাল্টেছে। শশী থারুর ইত্যাদি রাজনৈতিক নেতারাও আমাদের হয়ে কথা বলছে। তাই আমি আশাবাদী যে এক/দু বছর না হলেও খুব জলদিই কিছু বড়সড় পরিবর্তন ভারতের নিরিখে আমরা দেখতে পারবো। উল্টোদিকে বাংলাদেশ নিয়ে আমার বেশ ভয় আর চিন্তাই হয়। ভাবোনা, এখানে আমি যদি বলি আমি গে, কি করবে? পেছনে লাগবে? টোন-টিটকিরি দেবে? খুন তো করবেনা? আমার বাংলাদেশের বন্ধুদের সাথে কথা বললে তো শিউরে উঠি। নিজেকে সমকামী জানান দিলে হয়তো কাল কেউ এসে কল্লা ফেলে দিয়ে গেলো। তবে ঐ যে বললাম, বরাবরই আমি খুব আশাবাদী মানুষ।

কাঁচালঙ্কাঃ গয়নাবড়ি, গান, লেখালেখি + বডি বিল্ডিং, খেলাধুলা, লড়াই — সব মিলিয়ে একজন মানুষ — নিজেকে ঠিক কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবে?
সমর্পণঃ ধুশ! আমি ওভাবে ভাবিইনা। আসলে আমি শুধু নিজের মতো থাকতে চাই। ১০টা-৫টা চাকরী করবো, টাকা কামিয়ে জীবন সুরক্ষিত করবো, আসলে ওভাবে ভাবিইনি কখনো। যখন যা ইচ্ছে হয় করি। এইত্তো, লোকে পত্রিকার জন্যে লেখা চায় আমি দিতে পারিনা, লেখার ইচ্ছে না হলে কিকরে লিখবো বলো তো? গান শিখতাম ছোটবেলায়, ভালো লাগতো তাই। বডি বিল্ডিং , এটাও খেয়াল, দেখি কিরকম লাগে, সেখান থেকে শুরু। আসলে নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে বেশ মজা লাগে। কোন বাক্সে না থেকে। লেখক হলে এরকম হও, মডেল হলে এরকম, এভাবে ভাবিইনা কক্ষনো। নিজের মতো থাকি। কোন বাক্সে নয়। ব্যাস।

** সমস্ত ছবি সমর্পণের কাছ থেকেই পাওয়া, এবং ওর অনুমতি সহকারে প্রকাশিত।



এবার তাহলে সেই কথা, যার জন্যে এই পোস্ট। কি বন্ধুরা, মন চাইছে এই সমর্পণ নামের মানুষটাকে জেতাতে? মিঃ গে ওয়ার্ল্ডের খেতাব। তোমার আমার মতোই একজন মানুষ সমকামী বিশ্বসুন্দর প্রতিযোগিতায় প্রথম, একজন বাঙ্গালী। তাহলে কিন্তু একটু কষ্ট নিখরচায় আমাদের সবাইকেই করতে হবে। বিশেষ কিছু না, ভোট দিতে হবে। কি করে ভোট দেবে? খুব সহজ।

প্রথমে তো এই সাইটে গিয়ে রেজিস্টার করো নিজেকে, যেভাবে ফেসবুকে একাউন্ট খোলে ঠিক সেভাবে। এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই পোঁছে যাবে সেই পাতায়। রেজিস্টার করো।

নিজের পছন্দশই নাম, ই-মেইল, আর পাসওয়ার্ড দিয়ে, নীল চাকার পাশে থাকা বাক্সে ক্লিক করো, আর সবশেষে নিচের রেজিস্টার (Register) লেখাটায়।

একটি মেইল আসবে তোমার দেওয়া মেইল আই-ডি তে।

সেখানে “click here to confirm your email adress” লেখাটায় ক্লিক করতে হবে। ব্যাস পৌঁছে যাবে ওদের ওয়েবসাইটে। এবারে “Vote” অপশানে ক্লিক করতে হবে। লালকালি দিয়ে দাগিয়ে দিলাম।

এবারে সমর্পণের ছবি খুঁজে তার নিচের হলুদ বাটনে ক্লিক করো। ব্যাস! হয়ে গেলো। সোজা।

আর হ্যাঁ প্রত্যেক ২৪ ঘন্টায় একবার ভোট দেওয়া যাবে। অতএব। সেক্ষেত্রে এই লিংকে (ক্লিক করো এখানে) গিয়ে নিচের মতো একটা পেজ আসবে।সেখানে লগ ইন করে (ফেসবুকে যেমন করো আর কি) আবারো ভোট দিতে পারবে ২৪ ঘন্টা পার হলেই।

তাহলে বন্ধুরা, ভোট দিতে থাকো, আর আমাদের বাঙ্গালী বন্ধুটিকে এবারের মিঃ গে ওয়ার্ল্ড বানাও।

বিঃ দ্রঃ mrgayworld ওয়েবসাইটের সমস্ত স্ক্রিনশটের স্বত্ব সাইটটিরই। কাঁচালঙ্কা কোনভাবেই এই স্বত্বে অধিকার দাবী করেনা।

Exit mobile version