যৌনতায় যখন পরিচয়/১৬
অবকাশে সঞ্জয়
–আচ্ছা কাম বিষয়ক গ্রন্থ কখনও শাস্ত্রগ্রন্থ হতে পারে?
— ঠিক জানি না গো। কিন্তু হঠাৎ এমন প্রশ্ন করছ কেন?
— না এমনি মনে হল। শাস্ত্র মানেই তো ধর্ম ধর্ম ব্যাপার।
— হুম। তা কাম কোন ধর্মীয় ব্যাপার নয় বলছ?
— কি যে বলো। কাম থেকে মুক্তির পথ খোঁজাই তো ধর্মের উদ্দেশ্য।
— তাই নাকি!
— হ্যাঁ। কোন সন্দেহ নেই।
— কিন্তু কাম যদি কারও ধর্ম হয়?
— দূর। তা কক্ষনো হয় না। হতে পারে না।
— তোমার মনে হয় না যে কাম জীবনের ধর্ম।
— কিভাবে?
— কিভাবে মানে! কাম যদি না থাকতো, তাহলে জীবন প্রবাহ থাকতো?
— না থাকতো না। তোমার কথা মেনে নিচ্ছি। তারপরেও বলছি, সেটা মানুষের জৈবিক ক্রিয়া। ধর্ম নয়।
— বেশ। তা ধর্ম বলতে তুমি কি বোঝ?
— কেন মুক্তির পথ খোঁজা।
— কিসের থেকে মুক্তি?
— মনুষ্যজীবন থেকে মুক্তি।
— কিন্তু মানুষ কি সত্যি তার মনুষ্য জীবন থেকে মুক্তি চায়?
— চায় না বলছ?
— না চায় না। মানুষ বাঁচতে ভালোবাসে। বেঁচে থাকার জন্য কত কষ্ট করে বলো তো।
— কিন্তু…
— কোন কিন্তু নেই এরমধ্যে। মানুষ ভালোবাসে আনন্দ। শান্তি।
— আর…
— আর সেই শান্তি ও আনন্দ যে যার মতো করে পথ হেঁটে খুঁজে পেতে চায়।
— বেশ। ধর্মে আনন্দ ও শান্তি পাওয়া যায় তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু কামে…
— কামও তো জীবনকে আনন্দদানের জন্য। আর সেই আনন্দ কত উপায়ে দেওয়া যায় তারই জন্য ঋষি বাৎসায়ন লিখেছেন নানা কামকলা যা জীবনের কাছে কামশাস্ত্র।
[ছবিঃ অরূপ দাস]