** আইনি হিসেব নিকেশ বুঝিনা, যেটুকু বুঝি সেটুকুই বন্ধুদের জন্যে সংক্ষেপে
১০. যেসকল পক্ষ ৩৭৭এর এই মামলায় পক্ষে/বিপক্ষে সওয়াল করেছেন, তাদের সবাইকে সুপ্রিমকোর্ট এই শুক্রবার (২০শে জুলাই) এর মধ্যে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জমা দিতে বলেছে। এবার শুধু ফলাফলের অপেক্ষা।
৯. এর পরে আরো দুই উকিল ৩৭৭ ধারার পক্ষে সওয়াল করেন এবং এর সাথেই শেষ হলো ৩৭৭ ধারার শুনানি।
৮. দুপুরের খাওয়ারের পরে আরেক আইনজীবী রাধাকৃষ্ণণ আবারো এইডসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে বিচারক ইন্দু মালহোত্রা জানান, এইডস কিন্তু শুধু সমকামী নয় বিসমকামীদের মধ্যেও ছড়ায়। বিচারক চন্দ্রচূড় জানান গ্রামের কোন বিসমকামী পুরুষ বাইরে গিয়ে মারণরোগ বহণ করে গ্রামে নিজের পরিবারের মধ্যে ছড়ায়। অসুবিধেটা যৌনক্রীয়ার নয়, বরং অসুরক্ষিত যৌনক্রীয়ার।
৭. শ্রী জর্জ অনুরোধ করেন যাতে ৩৭৭কে জামিনযোগ্য করা হয়, আর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছায়ারা যাতে এই ধারার আওতায় কাউকে গ্রেপ্তার না করা যায়, শুধু এইটুকুই যেন পরিবর্তন আনা হয়, এই বলে তিনি রণে ভঙ্গ দেন, থুড়ি, ক্ষান্ত হন।
৬. শ্রী জর্জ জানান অবাধ সমকামিতা এইডস প্রভৃতি ছোঁয়াচে রোগের কারন, যার উত্তরে বিচারক চন্দ্রচূড় বলেন সঠিক তথ্য আর রোগীদের গ্রহণযোগ্যতাই ছোঁয়াচে রোগের প্রসারে রাশ টানোট সাহায্য করে। এ বিশয়ে জাসটিস নারিমান খুব সুন্দর একটি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন যৌনকর্মীদের নিয়েও এভাবে ভাবা যায়। যদি যৌনকর্মীদের কাজকে আইনি বৈধতা দেওয়া যায়, আর তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে তাদেরো স্বাস্থ্য আর অধিকারকে সুনিশ্চিত করা যাবে৷ আজ ৩৭৭ ধারার শুনানি যৌনকর্মীদের লড়াইকেও আরো এক ধাপ এগিয়ে দিলো।
৫. শ্রী জর্জের কথার উত্তরে বিচারক শ্রী নারিমান আরো একটি সুন্দর মন্তব্য করেন। তিনি জানান যে মৌলিক অধিকারের মূল লক্ষ্যই হলো, বস্তাপচা সেইসব আইন যেগুলিকে সংখ্যাগুরু তোষণের সরকার সরাতে চায়না সেগুলিকে বাতিল করা। আর সুপ্রিমকোর্ট এই ব্যাপারে সরকারের জন্যে অপেক্ষা করবেনা। কোন আইন যদি সংবিধানের পরিপন্থী হয়, কোর্টই তা বাতিল করে দেবে।
৪. শ্রী জর্জ ৩৭৭ ধারা সরে গেলে অন্যান্য আরো অসুবিধে হতে পারে বলে জানান। বিচারক নারিমান জানান তাতে সমস্যা নেই, সে শিশুকামিতা, পশুকামিতা ইত্যাদিকে ৩৭৭এর আওতায় একইভাবে রেখে দেওয়া যাবে না হয়।
৩. শ্রী জর্জ যে লিখিত বয়ান কোর্টের সামনে পেশ করেন, তাতেও এই বিদ্বেষের ছোয়াঁচ যথেষ্ট। মূখ্য বিচারক শ্রী মিশ্রা ওনাকে দোন কিখোতে-র কবিতা পড়ার পরামর্শ দেন৷ যাতে উনি ভালোবাসা সম্পর্কে নিজের ধারণাকে আরো প্রসারিত করতে পারেন।
২. দুটি খ্রিস্টান সংগঠনের হয়ে আইনজীবি মনোজ জর্জ সওয়াল করছেন। এবং এই নিরিখে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের কিছু মন্তব্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। শ্রী জর্জ একটি সমীক্ষা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করে বলেন বয়ঃসন্ধিতে সমলিঙ্গে আকর্ষণ পরিণত বয়সে আর থাকেনা। এত উত্তরে বিচারক চন্দ্রচূড় বলেন, যে ওয়েবসাইটে এই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে তাতে লিঙ্গ-যৌণ-প্রান্তিক মানুষদের প্রতি প্রভূত বিদ্বেষ প্রকাশ পেয়েছে।
১. শুনানি শুরুর অপেক্ষায়।
১. আজ সুপ্রিমকোর্টে ৩৭৭ ধারার শুনানি নেই, তবে জানা যাচ্ছে এ বিষয়ে সর্বভারতীয় মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড আবার পালটি খেয়েছে। তারা আজ জানিয়েছে যে তারা ৩৭৭ ধারাকে সমর্থন করেন। বোর্ডের তরফে শ্রী জাফরইয়াব জিলানি জানান যে “সমকামিতা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক”। ভারতের সরকার ৩৭৭ ধারার বিষয়ে কোর্টে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ায় বোর্ড আপসোস জ্ঞাপন করে। শ্রী জিলানি বলেন “কেন্দ্রীয় সরকারের উচিৎ ছিলো ৩৭৭এর পক্ষে সুপ্রিমকোর্টে আইনি ভাবে সওয়াল করা”। তাহলে সর্বভারতীয় মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড কি আইনিভাবে আমাদের পথের কাঁটা হতে চলেছে সুপ্রিমকোর্টে? এর উত্তর সময়ই দেবে।
১. আজ সুপ্রিমকোর্টে ধারা ৩৭৭এর কোন শুনানি নেই। তবে জানা যাচ্ছে যে সর্বভারতীয় মুসল পারসোনাল ল বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে তারা ৩৭৭এর ভবিষ্যৎ সুপ্রিম কোর্টের হাতেই ছেড়ে দেবে। অর্থাৎ শুনানি চলাকালীন তারা কোনভাবে আইনী পদ্ধতি অবলম্বন করে এর পক্ষে বা বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করবেনা।
৭. শুনানি আবার মঙ্গলবার ১৭ তারিখ। আজকের মতো শেষ।
৬. মূখ্য বিচারক দীপক মিশ্রা মন্তব্য করেছেন কোর্ট কখনোই সংখ্যাগুরু মানসিকতার উপরে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করবেনা। করবে সাংবিধানিক ভিত্তির উপরে।
৫. রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ জানিয়েছে যদিও ৩৭৭ ধারায় কাউকে আইনের চোখে অপরাধী সাব্যস্ত করার পক্ষে তারা নন, কিন্তু সমকামিতা কখনোই ভারতীয় সংস্কৃতি নয়।
৪. সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাম ল বোর্ডের সদস্য সৈয়দ কাসিম রসুল জানিয়েছেন যে তারাও ৩৭৭ এর পক্ষে সওয়াল করবেন। তিনি জানান সমকামিতা সমস্ত ধর্মেই নিন্দিত।
৩. এপস্টলিক চার্চের তরফে আইনজীবি শ্রী মনোজ ভি জর্জ ৩৭৭ এর পক্ষে পিটিশন জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন বাইবেলের মতে সোডমি বা পায়ুমেহণ গর্হিত অপরাধ।
২. অপেক্ষা শেষ । শুনানি আবার শুরু
১. সকাল সাড়ে এগারোটার অপেক্ষা
৯. শুনানি আবার কাল চালু হবে।
৮. বিভিন্ন আবেদনকারীর পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবীরা যে সকল বিষয় উত্থাপন করেছেন, তার মধ্যে লিঙ্গ-যৌন-সংখ্যালঘুদের একসাথে মিলত হয়ে সংগঠন তৈরির পক্ষে বাঁধা এবং নালসা জাজমেন্টের পরেও রূপান্তরকামীদের পুলিশি নিগ্রহ গুরুত্বপূর্ন ।
৭. জানা যাচ্ছে যে মূখ্য বিচারক দীপক মিশ্রা মন্তব্য করেছেন দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরা নিজেদের ইচ্ছেয় নিজেদের ঘরে বিছানায় কি করবেন তা কখনোই বেয়াইনি হতে পারেনা। আশার আলো দেখছেন লিঙ্গ-যৌন-মানবাধিকারকর্মীরা।
৬. বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে যে কোর্টের তরফে মন্তব্য করা হয়েছে যে যৌনতা মানুষ নিজে পছন্দ করে বেছে নেয়না।
৫. সুপ্রিমকোর্টের রায় যেন কোনভাবে “বিকৃতরুচি” প্রদর্শনের রাস্তা খুলে না দেয় সে বিষয়ে নজর রাখারও অনুরোধ রাখা হয়েছে সরকারের হলফনামায়।
৪. কেন্দ্রীয় সরকারের হলফনামায় এও বলা আছে যে যদি এই শুনানি ৩৭৭ ধারার সাংবিধানিকত্ব অথবা দুজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের মধ্যে পারষ্পরিক সম্মতিতে যৌনতার বাইরে গিয়ে বিয়ে বা দত্তক ইত্যাদি বিষয়ে অগ্রসর হয়, তাহলে সরকার আরো সুনির্দিষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করবে।
৩. বিচারক শ্রী চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেছেন যে কোর্ট কখনোই চাইবেনা যে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হাতধরাধরি করে সমুদ্রসৈকতে হাঁটাচলা করলে পুলিশ তাদের ৩৭৭এর অছিলায় বন্দি করবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে যে ৩৭৭ ধারা নিয়ে তারা কোন অবস্থান নেবেননা। উল্লেখ্য গতকাল থেকে বিভিন্ন মাধ্যম/সূত্র থেকে পাওয়া খবরে এ বিশয়ে বিভিন্ন জল্পনা তৈরি হয়েছিলো, সে সবের অবসান ঘটলো। ২০১৩ সালে সুপ্রিমকোর্ট সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছিলো ধারা ৩৭৭ ধারায় প্রয়োজনীয় রদবদল আনতে। এখন আবার সেটি বুমেরাং হয়ে ফিরে এলো কোর্টেরই কাছে। আবার এই সরকারই গতকাল শুনানি শুরুর আগে আরো একমাস সময় চেয়েছিলো নিজেদের অবস্থান সুস্পষ্ট করতে।
১৭. কে কে ভেনুগোপালন, এটর্নি জেনারেল, জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭৭ ধারার পক্ষে সওয়াল করবে। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় সরকার চায়, ৩৭৭ ধারা যেমন আছে, সেভাবেই বহাল তবিয়তে টিকে থাকুক।