“ট্রান্স-মানবাধিকারের অপমৃত্যু” – কিছু ছবি, কিছু কথা
লোকসভার পরে রাজ্যসভায়, পাশ হয়ে গেলো বিতর্কিত ট্রান্সজেন্ডার বিল। এখন এটাই আইন। সরকারের তরফে অগ্রাহ্য করা হলো হাজার হাজার সমান্তরাল লিঙ্গচেতনার মানুষদের প্রতিবাদ। খানিক একই সাথে হাতে এলো এই ছবিগুলি। পাঠিয়েছেন বন্ধু দেব বড়ুয়া। তৈরি হলো অনুরণন। খুবই করুণ তার হৈমন্তী সুর।
ছিনিয়ে নেওয়া হলো স্ব-লিঙ্গ-নির্ধারনের অধিকার। আমি নারী, না পুরুষ, না অন্যান্য, এটা নির্ধারন করবেন এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এক সরকারী আমলা। নালসা রায়ের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি এখন অতীত।
ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের যৌন-হেনস্থার জন্য বরাদ্দ হলো মাত্র ৬ মাস থেকে ২ বছরের জেল হেপাজত। যদিও ঠিক কোন কোন বিষয়কে যৌন-হেনস্থার আওতায় আনা হবে, তা নির্দিষ্ট নয়। তাহলে একজন সমান্তরাল লিঙ্গচেতনার মানুষকে ধর্ষণ করলেও তার শাস্তি কতো? ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, না দুবছরের? ব্যস? যথেষ্ট?
শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থান, কোথাও কোন সংরক্ষিত আসন রাখা হলোনা। অন্তর্ভুক্ত করা হলোনা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর আওতায়। মানা হলোনা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।
যৌণ-প্রতিবন্ধি মানুষদেরও পরিচিতি দেওয়া হলো সমান্তরাল লিঙ্গচেতনার মানুষ বলে। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি একবারও যাচাই করা হলোনা। আলোচনা করা হলোনা কোন ট্রান্স মানুষদের সাথেই। নালসার ঐতিহাসিক রায়ের মূল চিন্তাভাবনার পরিপন্থী এক ভ্রান্ত আইন, আমাদের মানবাধিকারকে খুন করা হলো। আমাদের মুক্তির আকাশকে বেঁধে ফেলা হলো শিকল দিয়ে, আর স্বাধীনতাকে আটক করা হলো মোটা লোহার গরাদের পিছনে।
— — — — —
ছবি – অরিজিত সর্বাধিকারী
ভাবনা এবং মুখ – দেব বড়ুয়া
এডিট – গৌরভ পাল
লেখা – কাঁচালঙ্কা