কটক, ৩০শে অগাস্ট, ২০২০ঃ চারিদিকের বিরুদ্ধ পরিবেশের মধ্যে হঠাৎই এক স্বস্তির হাওয়া নিয়ে এলো মহামান্য উড়িষ্যা হাইকোর্টের রায়। ২৪ বছর বয়সী তরুণী, আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন, তার সঙ্গীনীকে নিয়ে একসাথে থাকার। পারিবারিক অত্যাচার, জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রয়াসকে রুখে দিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। জজপুর কোর্টের ডিভিসন বেঞ্চের জাস্টিস এস কে মিশ্র এবং জাস্টিস সাবিত্রী রাঠো, তরুণীর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং জজপুর পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টকে আদেশ দেন প্রেমিকযুগলের সমস্ত রকম নিরাপত্তা দেওয়ার।সংবিধানের আর্টিকল ২২৬ এবং ২২৭ র উপর ভিত্তি করে আদালতে আবেদন জানান চিন্ময়ী জেনা ওরফে সোনু কৃষ্ণ জেনা। কৃষ্ণ জেনা একজন মনোবিদের থেকে জেন্ডার ডিসফরিয়ার সংশাপত্র এনে আদালতে জমা দেন, যাতে তিনি নিজেকে একজন রূপান্তরকামী পুরুষ হিসেবে দাবী করেন, এবং এর সাথেই তিনি নিজের সঙ্গীনীর সাথে বসবাস করার আর্জী জানান। তিনি জানান, ২০১১ সালে তারা প্রণয়ে আবদ্ধ হন এবং ২০১৭ থেকে তারা পরষ্পরের সম্মতিক্রমে একসাথে থাকতে শুরু করেন।
সঙ্গীনীর মা এবং কাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ ,তারা জোর করে দুজনকে আলাদা করে দেন এবং জোর করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ আদালতের নালসা রায় অনুসারে, ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৭ র ১৪,১৫,১৯ এবং ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী একজন ব্যক্তি নিজের লিঙ্গ নির্ধারণের অধিকার রাখেন এবং, তিনি তার সঙ্গী উভয়ের সম্মতিক্রমে একসাথে বসবাস অর্থাৎ “লিভ-ইন” করতে পারেন। মহামান্য উচ্চ আদালত, উড়িষ্যাকে আমাদের তরফ থেকে ধন্যবাদ। আদালতের এই রায় আমাদের ভবিষ্যৎ পথ চলাকে সুগম করেছে, এবং মানবাধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ছবিঃ ভুটান
— * — ** – *** – ** — * —