তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে স্বাভাবিক মানুষদের অস্বাভাবিক সব অত্যাচার সাথে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় প্রতিটা দিন। ঘরের চার দেয়ালে বন্দী থাকলে হইতো কিছুটা রেহাই মিলতো। কিন্তু রাস্তায় বেরোতেই হয় বিভিন্ন প্রয়োজনে । সবাই যে হিংস্র তা নয়। তবে রাস্তায় এমন মানুষ মিলেই যায়, যখন নিজেকে খুব একলা মনে হয়।। কতো রকম মানুষ আর তাদের কতো রকম অত্যাচার। প্রতিদিনের টুকরো টুকরো অত্যাচার গুলো দিনের দেশে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। তাদেরকে ভয়ে ভয়ে জীবনটা বাঁচিয়ে রাখতে হয়। শুনতে পাই কলকাতায় সব lgbt র মানুষেরা একসাথে থাকে। একজনের কিছু হলে অন্যেরা একসাথে ছুটে আসে। শুনি এনজিওরা খুব ভালো কাজ করছে। সবাই এক সংসারের বাসিন্দা হয়ে NGO করছে তাঁরা । ভালোবাসা আর আন্তরিকতা থাকলে এককাট্টা হতে সময় লাগে না । এই আত্মার বন্ধন গড়ে ওঠা দরকার। এমন সংগঠন সর্বত্র গড়ে উঠুক। তবে বলতেই হয় এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা খুব খারাপ।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মধ্যে প্রতিভার শেষ নেই। কেউ নাচে পারদর্শী, কেউ আঁকে। কেউ বা লেখে। তবু সরকারেরা মুখ ফিরিয়ে থাকে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য সত্যিকারের কেউ কিছু ভাবছে বলে মনে হয় না ।।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতিদিনের লড়াইকে কুর্নিশ। তাদের সাহসকে কুর্নিশ। এগিয়ে চলো সকলে একসাথে । আমি নিজেও তৃতীয় লিঙ্গের তাই এই জীবনটাকে জীবন দিয়ে বুঝি ।।
ছবিঃ ভুটান
<< কালিজা ২০২১ (৪র্থ বর্ষ) – সূচিপত্র