কাঁচালঙ্কা

বাহ্যিক

আজকাল বড্ড বেশী রুক্ষ যেই মানুষটাকে চিনতে তোমাদের অসুবিধে হয়ে,
সেই মানুষটাও ভীষণভাবে ফুরিয়ে গেছে—-
তাই বলি চেনা জৈবিক লাশটাকে অচেনার স্ফীতিতেই বিলুপ্ত হতে দাও;
ভালোবেসোনা কাছে যেয়োনা কারণ স্নেহ পেলে জড় শব জেগে উঠবে—-
ছুঁতে চাইবে ভালোবাসতে চাইবে,
আর অপবাদ গাঢ় কালিমা;
মানুষটাকে থাকতে দাও ঘুরতে দাও জীবিকার সন্ধানে দেশান্তরে,

“হাসতে হাসতে রোনা শিখো,
রোতে রোতে হাসনা,,”
কলঙ্কিনী রাধার প্রাপ্য ছিলো কলঙ্ক;
বিচ্ছেদ ঘনীভূত হয়ে দ্বিরথে চড়ে তাও আসেনা রুক্ষ রাজকুমারের স্বপ্নে দেখা রাজকুমার,
রাধার দুঃখে মেয়েটা মদের নেশায় চলে যায় বিবাহিত প্রেমিকার বাড়ীর কাছে;
সকাল হলেই জীবিকার সন্ধানে বেড়িয়ে পরে তারা—-
সমালোচোনা হবে হোক,
সমালোচিত হতে ভালোই লাগে একঘেয়ে জীবনে বেশ উপভোগ্য–

পঙ্কতিতে ধাঁধা মেশানো উত্তর শুধু আলোকিত চুপ থাকার যন্ত্রণায়,
বইপোকার ঝর্ণাকলমে বিচিত্রতা,,
ভ্রুকুটি কানাঘুষো নাহ্!!পাইনি তারে!!
পাথুরে কবরগুলোর গায়ে গ্রাম্য ঘাসজমিন জমে থাকে
দৃষ্টিগোচর পুরু শ্যাওলা—–
“জীবনে যদি দ্বীপ জ্বালাতে নাহি পারো সমাধি পরে মোর জ্বেলে দিও”।।।।।।।

ছবিঃ অর্ক ঘোষ

<< কালিজা ২০২২ (৫ম বর্ষ) – সূচীপত্র


Exit mobile version