সেদিন রাস্তায় একটা মেয়েকে দেখলাম আনাড়ির মতো একটা চলন্ত গাড়ির সামনে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেল রাস্তায়। আরেকটু হলে ওই হাইওয়ে ধরেই সোজা স্বর্গে চলে যেত, গাড়িটা যথাসময়ে ব্রেক কষে দিয়েছিল বলে রক্ষে হয়ে গেল।
মনে মনে বললাম “বেশ হয়েছে! মরলি না কেন? তোর জন্য আমি রাস্তায় ঠিক করে চলতে পারি না। ঘর থেকে বেরোতে পারিনা। আজকে সুযোগ ছিল, মরে যেতে পারতিস তো!”
একগাদা লোক দেখি ঘিরে ফেললো আমাকে।
“ইশ! লাগেনি তো? আরে দেখে চলতে পারেন না রাস্তায়। ওভাবে কেউ মাথা নিচু করে হাঁটে?? দুদিকে দেখে চলতে হয় তো!!”
আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম “ওয়াহ ভাই ওয়াহ!! সারাজীবন তুই যা যন্ত্রণা দিয়ে গেলি। আর গালাগাল গুলো আমাকে খেতে হলো!”
আমি ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। গাড়ির চালক বেরিয়ে এসেছিল। তাকে “সরি” বলে দিয়ে বাকি শুভাকাঙ্ক্ষী দের দিকে একঝলক তাকিয়ে মাথা নিচু করে অত্যন্ত বিনম্র ও লজ্জিত ভাবে “না আমি ঠিক আছি” বলে রাস্তা পার করে ওদিকের ফুটপাতে উঠে এলাম।
ছবিঃ অর্ক ঘোষ
<< কালিজা ২০২২ (৫ম বর্ষ) – সূচীপত্র