কাঁচালঙ্কা

ভীতু

খারাপ হওয়া কাকে বলে?
সেতো জানা নেই!
ভালো-খারাপ, সুফল-কুফল
সবই তো বিফলেই।
খারাপ হওয়ার অপেক্ষাতে
খারাপ হলাম কই?
ভালোবাবু সেজেগুজেও
নজর আমার ওই।
এক, দুই, তিন বছর ঘোরে
জোটেনাতো আর!
চার, পাঁচ, ছয় – বছর পেরোয়
ধৈর্য্য রাখা ভার।
অন্তর্জালের মাদক নেশায়
ভেসেই যে বেড়াই,
একঘেঁয়ে আর একনাগাড়ে
খুঁজেই ফিরি তাই।
বার্তালাপের নেই কিছু গো,
কথা তো কয়েকটাই!
Pic, T, V, B? প্লেস আছে কী?
সাইজ কত ভাই?
একই কথা ঘুরে ফিরে
সবাই করে যায়।
বিরক্তিকর, একঘেঁয়ে; তাই
নিলেম বিদায়।
হাত বাড়িয়ে চঞ্চল মন
কিচ্ছুটি না পায়।
কি হবে আর? ধুত্তুরি ছাই!
মনে শান্তি নাই।
লোকভর্তি হলঘরেও
সবাই কেমন একা!
মাঝ সমুদ্রে তেষ্টা মেটায়
লবণ জলের ধোঁকা।
মনকে এবার শাসায় বিবেক
অঙ্কুশ নিয়ে হাতে,
“চরিত্রটা যাবে এবার
সর্বহারার খাতে”।
শামুক খোলে গুটিয়ে এ মন
শান্ত হয়ে থাকে;
বহুগামিতার নক্কার পুঁজ
বেরিয়ে যেতে থাকে।
দেখো! কেমন মালা জপি,
তুলসী বনের মাঝে।
ভজন, পূজন, আজান, নামাজ
বিষমকামীর সাজে।
বেড়াল বলে, “মাছ খাবনা, দুধ ছোঁবনা,
যাবো বৃন্দাবন,
হজ করে ভাই শুধরে যাব
শুদ্ধ হবে মন”॥

—- ** — *** — ** —-

ছবিঃ ভুটান

** কাঁচালঙ্কার তরফে একগামিতা/বহুগামিতার মধ্যে তুল্যমূল্য বিচার করে, কোনটি শ্রেষ্ঠতর, সে বিষয়ে কোন মতামত এই লেখার সাথে রাখা হলোনা। অনেকেই আছেন যারা এ-রোম্যান্টিক অর্থাৎ প্রেম বিষয়টিকে অনুভব করেননা, কিন্তু যৌনতায় লিপ্ত হতে চান। তাদের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা বজায় আছে বরাবর। কবিতার দায় কবির।

Exit mobile version