যৌনতায় যখন পরিচয়/১০
অবকাশে সঞ্জয়
যৌনতার অধিকার মানুষের গোপনীয় অধিকার। আর যা গোপন তা কারও পরিচয় বহন করে না। করতে পারে না। এরপরও আপনি যৌনতায় যখন পরিচয় ব’লে দিনের পর দিন ওসব ছাইপাঁশ লিখে যাচ্ছেন কেন? আমার ইনবক্সে ক’দিন আগে এমন একটা মেসেজ আসে। মেসেজারের নাম প্রকাশ করছি না। কারণ মেসেজও তো গোপনীয়। তা প্রকাশ্যে বলা উচিৎ নয়। তবে মেসেজটা প্রকাশ করলাম। একবার মনে হয়েছিল, মেসেজারকে ইনবক্সেই উত্তর দিই। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হল, না না, অন্য আর যারা ( যারা বলতে হয়তো দু চারজনই পড়েন ) এই ধারাবাহিক হিসাবে প্রকাশিত ‘ছাইপাঁশ’ পড়েন তাদেরও তো মনে একই প্রশ্ন জাগতে পারে। তারা হয়তো ইনবক্স করেন নি। কিন্তু মনে প্রশ্নটা আসতেই পারে। তাই প্রকাশ্যেই উত্তরটা লিখছি। অনেকটা ওই রথদেখা কলাবেচার মতো। উত্তরও দেওয়া হল, আবার ধারাবাহিকের আরও একটা কিস্তিও হয়ে গেল। যাক গে, ধান ভানতে শিবের গীত বন্ধ করে আসল কথায় ফিরি।
যৌনতার গোপনীয়তা বনাম যৌনতায় পরিচয়। এর সহজ উত্তর, যে কোন পরিচয়পত্রে ‘লিঙ্গ’ নামক যে অঙ্গটির উল্লেখ করতে হয় তা আমাদের কোন্ পরিচয় বহন করে। লিঙ্গ নিশ্চয় শরীরের আর পাঁচটা সাধারণ অঙ্গের মতো নিছক একটা অঙ্গ নয় বা অঙ্গ পরিচয় হিসাবে এর উল্লেখ থাকে না। ওই যেমন জীবনবিমা বা সার্ভিসবুকে শরীরের কোন স্থায়ী কাটা চিহ্ন, জরুল ইত্যাদির উল্লেখ করতে হয় চিহ্নিতকরণের সুবিধার্থে।
লিঙ্গ পরিচয়ও একপ্রকার চিহ্নিতকরণের জন্য। আর তা হল যৌনতার চিহ্নিতকরণ। অর্থাৎ লিঙ্গ পরিচয় যৌন পরিচয়ের সমার্থক। এরপরও কি বলা যাবে যৌন পরিচয় মানুষের গোপন পরিচয়? যৌনজীবীরা কি বলেন?
[ছবিঃ অরূপ দাস]