মাতৃরূপেণ সংস্থিতা
— অনিরুদ্ধ (অনির) সেন
“যাও যাও গিরি আনিতে গৌরী
উমা বড় দুখে রয়েছে”
মহালয়া সমাগত। পিতৃপক্ষের শেষ। দেবীপক্ষের শুরু। দেবী পূজিতা হবেন মাতৃরূপে। বরণ হবেন কন্যাস্নেহে। আর আমার মতো এক নাস্তিক কলম তুলে নিয়েছে এই মুহূর্তে মাতৃত্বের অন্য কিছু গল্প নিয়ে। দূর্গা — এনার অবয়ব সৃষ্ট শিব, বিষ্ণু এবং অন্যান্য দেবতাদের দেহনিঃসৃত ত্যেজপিণ্ড থেকে। যখন একাধিক পুরষের ত্যেজাংশ সৃষ্টি করে এক নারীর দেহ, লিঙ্গের এক অন্য ব্যকরণের আলো খেলে যায় সমাজের গোঁড়া কালো মেঘে। নারী এখানে পুরুষের শক্তির আধার। তার নিজস্ব স্বত্বা এই আখ্যানে খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। সেই স্বত্বা নিজের দেহ সৃষ্টি করতে অপারক পুরুষব্যতীত। কিন্তু সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক রহস্য মানব নামক প্রাণীর জন্যে সুনির্দিষ্ট করেছে বহিঃনিষেক। নতুন দেহ তৈরি করতে হলে প্রয়োজন হয়েছে শুক্রাণু, ডিম্বাণু এবং নিষেকসিদ্ধ কোষের জন্যে একটি জরায়ু। সেই জরায়ু যার অধিকারিণী নারী সমাজের কাছে মাতৃত্বের দাবীদার। মাতৃত্ব, পুরুষতন্ত্র যার নাম দিয়েছে নারীত্বের পূর্ণতালাভ। নারীত্ব, সমাজ যাকে খুঁজে বেড়িয়েছে যোনীর পর্দার আড়ালে। পর্দা, যা সত্যিকে আড়াল করে, আমাদের মন, আমাদের মস্তিষ্ককে আবদ্ধ করে সংস্কারের ভ্রান্তিতে।
আসলে আবোল তাবোল কথার খেলা খেলে চলেছি, কারণ আমি নিজেও বোধহয় খানিকটা দিগভ্রান্ত। লিখতে বসেছি মাতৃত্ব নিয়ে। এমন এক অনুভূতি, যার তলায় আশ্রয় খুঁজে ফিরি আমরা সবাই। আমাদের অবচেতনের হাত ধরে সেই অনুভূতি কত দিন থেকে জানিনা, জায়গা করে নিয়েছে অবলীলায়। লজ্জায় “এ মা ছি!”, ব্যাথায় “উফ! মা গো!”, এসব কতো সহজেই আপনি গড়িয়ে আসে বুক থেকে বেড়িয়ে কন্ঠনালী হয়ে জিভ আর ঠোঁটে। এর বাইরে গিয়ে তার কাছে সমর্পিত হবো ঠিক কিভাবে? মাতৃত্বের সংজ্ঞা, সেই বা বেঁছে নেবো কোন যুক্তিতে? বাধ্য হয়ে তাই, কবিতার কাছে ভিক্ষাপাত্র উঁচিয়ে আকাশের পানে চেয়ে রইলাম চোখে গভীর আর্তি নিয়ে। শিশিরের মতো নেমে এলো রবীন্দ্রনাথের লেখা “জন্মকথা”। খোকার প্রশ্নে রবীন্দ্রনাথ নিজে যেখানে হয়ে উঠেছেন মা। কখনো নিজের পুতুলখেলায়, কখনো শিবপূজার সাধনে, খুঁজে নিচ্ছেন নিজের খোকাকে। নিজের যৌবনের সৌরভ থেকে সৃষ্টি করছেন আপন সন্তানের কমনীয়তা। শীর্ন বাহু দিয়ে আগলে রাখছেন তার দেহ। চুম্বন করছেন সামনে পেলে, দূরে গেলে চোখের জলে ভাসছেন। খসে পড়েছে তার দাঁড়িগোঁফ, হারিয়ে গেছে তার লিঙ্গস্বত্বা।
আসলে দেবীপক্ষের এই লেখা, দুর্গাদের নিয়ে নয়, উমাদের নিয়ে। দেব বড়ুয়া নিজের কিছু ছবি পাঠিয়ে যখন কিছু একটা লিখতে বললো, তখন ভাবছিলাম কি লিখবো। এক পুরুষ(?) সে মা হয়েছে, বুকের নিচ থেকে স্ফীত শরীর কাপড়ে ঢাকা, তার নিচে আরেক কল্পিত স্বত্বাকে সে অনুভব করছে তার হাতের উষ্ণতায়। সেই উষ্ণতার নিচে আরেক উষ্ণ জীবন, এখনও গর্ভের ওম পোয়াচ্ছে।
– এরকম একটা ছবির পেছনে কিরকম ভাবনাচিন্তা কাজ করেছিলো আপনার?
– কত মেয়েলি বন্ধুরা আছে যারা মা হবার কাল্পনিক স্বপ্নে ভেসে বেড়ায়। ঈশ্বর যদি আমাদের মধ্যেও গর্ভধারন করার শক্তি দিয়ে পাঠাতো। আচ্ছা শুনেছি ডাক্তার নাকি ভগবানের এক রূপ, বিজ্ঞান আজ কত উন্নত লিঙ্গ পরিবর্তন করা সফল হচ্ছে, গর্ভধারন যদি সফল হয় তবে আমাদের মত বন্ধুরা সন্তান হতে বঞ্চিত হবে না। মেয়ে হবার অনুভূতি তো উপলব্ধি করি, কিন্তু মা হবার?
দেব চেয়েছে নিজের শরীরের মধ্যে সত্যি সত্যিই আরেক শরীর সৃষ্টি করার ক্ষমতা। ডাক্তারি বিদ্যায় এ নিয়ে গবেষণা চলছে অনেক। জানিনা কবে সত্যিই এইসব স্বপ্ন সত্যি হবে কাঁচিছুড়ির দৌলতে। কিন্তু মাতৃত্ব, সে কি শুধুই এক অধিকার? এই অধিকার কি জন্মায় নিজস্ব শরীর থেকে নির্গত সন্তানের উপরেই? সারোগেসি বা প্রতিনিধি-মাতৃত্বে যে নারী তার গর্ভে সন্তান ধারণ করে, বিজ্ঞান শুনেছি তাকে মায়ের আখ্যা দেয়না। ডিম্বাণু যার সেই মা। সে সব অনেক জটিল তত্ব। কিন্তু মহাভারতের বিখ্যাত চরিত্র কৃষ্ণের মা হিসেবে দেবকীর কথা আমরা ক’জনেই বা ভাবি? এক কথায় যার নাম মনে আসে তিনি যশোদা। তিনি কৃষ্ণকে গর্ভে ধারণ করেননি, লালন পালনে বড়ো করে তুলেছেন, আদর করেছেন, কখনো বা শাসন। আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এরম অনেক যশোদাদের কথা আমরা কতোটুকুই বা জানি? খোঁজ না রাখার জন্যে অনেককে হয়তো আর খুঁজেই পাওয়া যায়না।
সম্প্রতি মারা গেলেন বিখ্যাত চিত্রপরিচালক কল্পনা লাজমি। মনে পড়ে যাচ্ছে তার বানানো ছবি দরমিয়ান। একসময়ের বিখ্যাত নায়িকার সন্তান যৌন-প্রতিবন্ধী উভলিঙ্গ ইম্মি, এই ছবির এক মুখ্য চরিত্র। শুনেছি এই চরিত্র নাকি আমাদের কিং খান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, সম্ভবত তার কিং-নেস হারানোর ভয়েই, অবশেষে আরিফ জাকারিয়া এই চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেন। এই একই চরিত্র আরেক ছবিতে রূপায়িত করেছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। মহেশ ভটের ছবি “তমন্না”। “দরমিয়ান” ছবিটি কিন্তু কোথাও সত্যঘটনা অবলম্বন করার কথা স্বীকার করেনা। কিন্তু তমন্না করে। এখানে ইম্মির নাম টিক্কু। একের পর আরেক সন্তান, সবকটাই মেয়ে, তাই অতিষ্ঠ নিষ্ঠুর পিতা হয় তাদের মেরে ফেলে, নয়তো ফেলে দিয়ে আসে আবর্জনায়। এমনি এক আবর্জনা থেকে তুলে এনে তাদেরই মধ্যে একজনকে মানুষ করে মুম্বাই শহরের টিক্কু। নাম রাখে তমন্না। ছবির শেষে নিজের আসল(?) মা আর ভাইকে ছেড়ে তমন্না সিদ্ধান্ত নেয় টিক্কুর সাথেই বাকি জীবন কাটানোর। তার মধ্যেই সে খুঁজে পায় নিজের বাবা আর মা-কে। গল্প, কিন্তু কতোটা সেটা বলা কিন্তু সত্যিই মুশকিল। বিখ্যাত চিত্রপরিচালক শ্রীধর রঙ্গায়নের সাথে কথা বলার সময় জানতে পারলাম, টিক্কু নামের সত্যিই একজন হিজড়ে মুম্বাইয়ের মাহিম অঞ্চলে বসবাস করেন। দরমিয়ান ছবির সূত্রে শ্রীধর ওনার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। এই হিজড়ে টিক্কু এসে তাই গুলিয়ে দিয়ে যায় মাতৃত্বের সংজ্ঞা আবারো। এমন এক মাতৃত্ব যাকে সমাজ চেনেনা, যাকে নিয়ে কবিরা কবিতা লেখেনা, কিন্তু যার জোড় অলঙ্ঘনীয়। যাকে ছেড়ে তমন্না ফিরে যেতে পারেনা নিজের জন্মদাত্রী মায়ের কাছে।
শরীরে মা হওয়ার দৈহিক ক্ষমতা না থাকলেও যারা মননে নারী, তাদের তাই কোথাও একটুকু মন খারাপ লেগে থাকে হয়তো। অনেক বছর আগে তিস্তা দাসের একটা সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম এনডিটিভি-তে। কথা হচ্ছিলো সেই সাক্ষাৎকারটা নিয়ে তিস্তার সাথে। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সপ্রতিভ তিস্তাকে দর্শকাসন থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো যদি সত্যিই তিনি নারী হন, তাহলে তিনি কি মা হতে পারবেন কখনো? তিস্তা কেঁদে দিয়েছিলো সেবার, ক্যামেরার সামনে লাইভ শো-তে। প্রসঙ্গত তিস্তার এস-আর-এস অথবা লিঙ্গ-পুনর্নির্মাণ-অস্ত্রোপচার তখন সম্পূর্ণ হয়ে গেছিলো এবং শারীরিক ভাবে, বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞায় সে তখন এক সম্পুর্না নারী।
– তুমি কেঁদেছিলে কেন?
– আমি কেদেছিলাম এটা ভেবে যে সমাজ কিভাবে শুধুমাত্র একটি শারীরবৃত্তীয় নিরিখে মাতৃত্বের বিচার করে। জৈবিক জিনিষটার বাইরে যে মাতৃত্বের একটা মনস্তাত্বিক দিক আছে, সেটা নিয়ে কেউ ভাবেনা কেন? মাতৃত্ব তো একটা অনুভূতি। যে গর্ভে ধারণ করবে সেই মা? আর সেই মা যদি নিজের সন্তান মেয়ে হওয়ার জন্যে তাকে আবর্জনায় ফেলে আসে, তখনো কি সেই মা থাকবে? যদি একজন শিশু, যে জীবনে কোন ভালোবাসা পায়নি, তাকে কেউ একজন নিজের সমস্ত স্নেহ মায়া মমতা, নিজের সবটুকু দিয়ে লালন করে বড়ো করে তোলে তাকে আমরা মা বলবোনা? সমাজ কেন সেই মাতৃত্বকে স্বীকৃতি দেবেনা? শ্রদ্ধা করতে পারবেনা, উৎসাহ দিতে পারবেনা কেন?
– কিন্তু আজ দাঁড়িয়ে এখনকার তিস্তাকে যদি কেউ একই প্রশ্ন করে তাহলেও কি সে কাঁদবে?
– নাহ! আর কাঁদবেনা। আমার বোধহয় কান্নার দিন শেষ। এখনকার তিস্তা জানে এইসব অযোগ্য মানুষদের জন্যে অশ্রুপাত করার কোন মানে হয়না। তার চেয়ে বরং চোখের জল আগুণ হয়ে জ্বলে উঠুক। সেটুকুই বেশী প্রয়োজনীয়।
আগুণ, কখনো ধ্বংসাত্মক, আবার এই আগুনই কখনো সৃজনশীলের অস্ত্র। বিজ্ঞানের সর্বপ্রথম এবং শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, যার হাত ধরে মানুষ তৈরি করেছে নিজের সভ্যতা। আজ এই সমাজের নবীকরণ, তার শুদ্ধিকরণের জন্যেও আবশ্যিক এই আগুণ। তাই আগুণ জ্বালানোর জন্যে মাঠে সৈনিকেরাও হাজির। কথা হচ্ছিলো নৃত্যপটীয়সী মেঘ সায়ন্তন ঘোষের সাথে যিনি একাধারে নাচেন এবং এজলাসে সওয়ালও করেন। তাই একাধারে উকিল সায়ন্তন, নৃত্যশিল্পী সায়ন্তন এবং অভিনেত্রী সায়ন্তনের সাথে কথা হচ্ছিলো এ বিশয়ে তার অভিমত নিয়েও।
– তুমি তো খুব সম্প্রতি একটি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছো রূপান্তরকামীদের মা হতে পারার বিষয়টা নিয়ে। তো এই মাতৃত্ব নিয়ে তোমার কি অভিমত?
– দেখো এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার, প্রথমত তো এই স্বাভাবিক নারী আর রূপান্তরকামী নারীর পার্থক্যটাই অদ্ভুত, আর মাতৃত্ব তো সবার মধ্যেই থাকতে পারে। নারী কেন? পুরুষের মধ্যেও পারে। আসলে আমাদের যে “হিন্দু অ্যাডপশন অ্যান্ড মেইন্টেনেন্স অ্যাক্ট(হিন্দু দত্তক এবং ভরনপোষণ আইন)” রয়েছে তাতে রূপান্তরকামীদের জন্যে সন্তান দত্তক নেওয়ার কোন সুবিধে নেই। তাই সেদিক থেকে এ বিষয়ে আইন হওয়া ভীষণভাবে প্রয়োজন। যাতে তারাও একটা বাচ্চাকে দত্তক নিয়ে মানুষ করতে পারে। আমি তাই এই বিষয়টা নিয়ে খুবই চেষ্টা করছি, যাতে এরকম একটা আইন আসে।
– এই আইনি পদক্ষেপটির এখন বর্তমান অবস্থা কি?
– আসলে ওনার যে নোটারি দিয়ে এফিডেভিডটা হয়েছিলো, সেরকম এফিডেভিড (হলফনামা) আমাদের ভারতীয় আইনী ব্যবস্থায়, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে খুব একটা কার্যকর হয়না। আমার মক্কেল এখন কিছু আর্থিক অসুবিধের মধ্যে আছেন, তাই মামলাটা এখনও আমরা শুরু করিনি। শুরু হবে।
– তুমি যখন মঞ্চে নাচ কর, এরকম সময় এসেছে যখন তোমায় মা সাজতে হয়েছে হয়তো, নিজের নৃত্যভঙ্গিমায় মাতৃত্বকে ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে, তাই না?
– হ্যাঁ, হয়েছে, নাচই শুধু না, অভিনয়ের মাধ্যমেও। আগের বছর যে শর্টফিল্মটি এসেছিলো আমার “আই-লাইনার”, তার পরিচালক দীপ ঘোষ, উনিও সেখানে এইধরণের মাতৃত্বকে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। আমি সেই চরিত্রে অভিনয় করেছি।
– তুমি নিজে কি মা হতে চাও?
– হ্যাঁ, আমি নিজেও একজন বাচ্চাকে দত্তক নিতে চাই, এবং অবশ্যই মেয়ে বাচ্চাকে। কিন্তু এখনই নয়। আরো কয়েক বছর পরে।
মাতৃত্বের গরবে গরবিনী হতে চায় ওরা। তাই সেই অধিকার ছিনিয়ে নিতেও ওরা প্রস্তুত। ওরা মানে দেব, তিস্তা, মেঘ, টিক্কু এবং আরো আরো অনেকে। এরকম আরো অনেক গল্প টুকরো টুকরো রয়ে গেলো। বিজ্ঞান এগোচ্ছে, এগোচ্ছে আইনি লড়াই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এরকম অনেক উমারা। আমার তোমার চারপাশে। বেশ কিছু নামকরা পুজোয় এবার সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন রুপান্তরকামীরা। জানিনা এতে কতোটা তাদের লাভ হবে, আর কতোটা অর্থলোলুপ পুজো-উদ্যোক্তাদের। তবে এই নতুন ধরণের “মাতৃরূপেণ সংস্থিতা”-এর গল্প/ছবি/সিনেমা/লড়াই-গুলো রয়ে যাক আমাদের মননে। কেউ একজন বলেছিলেন নারীবাদ মানে বোর্খা পড়ার বাধ্যতা নয়, বোর্খা নিষিদ্ধ করাও নয়। যখন একজন নারী নিজের ইচ্ছেতে বোর্খা পড়তে পারবেন বা বর্জন করতে পারবেন, সেখানেই শুরু হবে সত্যিকারের নারীবাদের পথচলা। মাতৃত্ব নারীত্বের অঙ্গ। কিন্তু বাধ্যতা নয়। আবার একজন দৈহিক পুরুষের কাছে অনভিপ্রেয়ও নয়। একজন মানুষ লিঙ্গ-নির্বিশেষে যেদিন মা হতে পারবেন অথবা না হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করতে পারবেন, মানবিকতারও জয়গান শুরু হোক সেই মুহূর্ত থেকেই।
[ছবিঃ ভাবনা – দেব বড়ুয়া / ক্যামেরায় – পার্থপ্রতিম / মেকাপ – অঙ্কণ আবেশ দাস / পুনর্বিন্যাস – কাঁচালঙ্কা]