এলজিবিটিকিউ অভিবাসীদের যাপনচিত্র
ক্রস বর্ডার ক্যুয়েরস: দি স্টোরি অফ সাউথ এশিয়া এলজিবিটিকিউ মাইগ্রেন্টস ইন দি ইউকে ওয়ার্কসপের প্রথম অধ্যায়টি আয়োজিত হল কলকাতার ব্রিটিশ ক্লাবে। ভবিষ্যতেও ব্রিটিশ একাডেমির সহযোগিতায় সাউথ এশিয়ান ক্যুয়ের অভিবাসীদের হারানো ইতিহাস খুঁজতে এই রুপ ওয়ার্কসপ সাউথ এশিয়া এবং যুক্তরাজ্যে আয়োজিত হবে। আর্কাইভ , ইন্টার্ভিউ ইত্যাদির মাধ্যমে এই রিসার্চ আরও বড় আকারে সংগঠিত করা হবে।
কলকাতার ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনের সহযোগীতায় এই ওয়ার্কসপ আয়োজিত হয়। লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ রোহিত কে দাশগুপ্ত এবং স্ত্র্যাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ চূর্ণজিত মান সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের সাথে অভিবাসন এবং কিভাবে তা লিঙ্গ এবং সেক্সুয়ালিটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সেই বিষয়ে কথা বলেন।
কলকাতার ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনের নিক লো বলেন, যুক্তরাজ্য লিঙ্গ বা সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন সম্পর্কিত বৈষম্যের বিরোধী, তাই যুক্তরাজ্য ভারতের সহিত লিঙ্গ এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় সকল স্তরে প্রচার করতে উদ্যোগি।
১৯৬০এর দশককে যুক্তরাজ্যের এলজিবিটিকিউ মানবাধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনের সূচনাকাল ধরা হয়ে থাকে। ঠিক এই সময়ে সাউথ এশিয়ার দেশগুলি থেকে বিপুল সংখ্যক অভিবাসীরা ইউকে-তে আশ্রয় নেন। তারা এই দেশে এসে ঠিক কতোটা বিদ্বেষ এবং বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সেই বিষয়ে খুব অল্পই জানা যায়।
তাই ডঃ দাসগুপ্ত এবং ডঃ মান মনে করেন যে সাউথ এসিয়ান অভিবাসীদের বৈষম্য থেকে শুরু করে ভালোমন্দের অভিজ্ঞতার কথা শোনার সময় চলে এসেছে।তাদের আন্তর্জাতিক স্তরে ক্যুয়ের জীবনযাপন কিভাবে তাদের সাউথ এশিয়ান দেশের জীবনযাপন থেকে আলাদা সেই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করার এইটাই মোক্ষম সময়।
ভার্তা ট্রাস্টের পবন ঢলও এই প্রজেক্টের সাথে যুক্ত। তাকে কাঁচালঙ্কার তরফে অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রকল্পটি সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য। আশা রাখবো এই আলোচনাগুলি আন্তর্জাতিক স্তরে লিঙ্গ-যৌণ-সমান্তরাল অঅভিবাসী মানুষদের অসুবিধেগুলিকে নির্দিষ্ট করে চিনতে আর তালিকাবদ্ধ করতে অনেকটা সাহায্য করবে। চিনতে না পারলে তো কোন সমস্যাই নির্মূল করা যায়না, তাই না??
ছবি ও প্রতিবেদনঃ ভুটান (নিজস্ব প্রতিনিধি)
—————