একজন ‘হিন্দু’ বলতে কি বুঝি আমরা?! – সমকামীদের বিবাহ কি ‘হিন্দু সংস্কৃতি’র সঙ্গে খাপ খায়?

অনুবাদকঃ নীলোৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়

সূত্রঃ Mumbai Mirror -এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন

হিন্দুশাস্ত্রে সকলের জন্যই উপযুক্ত সম্মানজনক স্থান রয়েছে, রয়েছে নিঃশ্বাস ফেলার একান্ত পরিসর; শুধু মাথায় রাখতে হবে, সেটা যেন ধর্ম, সহমর্মিতা, পারস্পরিকতা এবং সামাজিক দায়িত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। [এখানে ধর্ম বলতে সত্যকে বুঝতে হবে]

হিন্দু সংস্কৃতিতে বিবাহবিচ্ছেদ নিষিদ্ধ হলেও হিন্দু পারিবারিক আইন বিবাহবিচ্ছেদকে স্বীকৃতি দেয়। এই হিন্দুসংস্কৃতিই আবার দেবতা ও মানুষের বহুবিবাহকে সমর্থন করলেও, সেই হিন্দু পারিবারিক আইন বহুবিবাহকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করে। তাহলে কি হিন্দু সংস্কৃতি এবং হিন্দু পারিবারিক আইন পরস্পরবিরোধী? নাকি প্রকৃত ‘ধর্মশাস্ত্র’ বলেই তা যুগে যুগে বদলে যাওয়া দায়িত্বপূর্ণ সামাজিক আচরণের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত হয়েছে? তার মানে এটাই দাঁড়ায়, যে ধর্মকেই স্থান-কাল-পাত্রের [সমাজ – সময় – সত্তা] সঙ্গে মিলে মিশে যেতে হবে। ভারতে বিভিন্ন সমাজের জন্য আলাদা আলাদা সামাজিক আইন রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলাই যায় হিন্দু ও মুসলিম বিবাহ আইনের কথা, কিন্তু সেরকম ভাবেই কি রামধনু সত্তার মানুষদের জন্য সমকামী-বিবাহের আইন প্রণয়ন হতে পারে না?

হিন্দু ধর্মশাস্ত্রগুলি মূলগতভাবে বেদের থেকে অনুপ্রাণিত এবং তার সাথে সাথেই সামাজিক ঐতিহ্য ও শাস্ত্রপ্রণেতাদের মননের দ্বারা যুগে যুগে নিত্যনতুন আকার লাভ করেছে। একেকজন দ্রষ্টা-মনীষীর কাছে একেকভাবে নতুন রূপ লাভ করেছে এই শাস্ত্রগুলি। আপস্তম্ব থেকে বশিষ্ঠ, কিংবা গৌতম থেকে মনু হয়ে যাজ্ঞবল্ক্য; বারেবারেই সমসাময়িক অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধর্মশাস্ত্র নতুন আকার নিয়েছে। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র এইখানেই বাইবেলে বর্ণিত প্রস্তরগাত্রে লিখিত ঐশ্বরিক প্রত্যাদেশের থেকে আলাদা। রামের জন্য যা উপযুক্ত ধর্ম [এক স্ত্রী], কৃষ্ণের ক্ষেত্রে তার সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মীতাই প্রকৃত ধর্ম [বহু স্ত্রী] হিসেবে বিবৃত হয়েছে। কারণ দুটি সম্পূর্ণ আলাদা যুগের আলাদা সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে ও প্রয়োজনে, ধর্মের সংজ্ঞা নতুন করে রচনা হয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রগুলি বারবারই বলছে যে সমস্ত জীবই পরমাত্মার বিশেষ প্রকাশ, তবু বাস্তব এই যে, জঙ্গলের সমাজ ক্ষমতার শ্রেণিবিন্যাসে বিশ্বাসী ও নির্মম। সেখানে এক প্রাণ আরেক প্রাণকে হনন করেই পেটের ধর্ম রক্ষা করে, সবল বেঁচে থাকে দুর্বলকে গ্রাস করে। বেদ ও পুরাণমতে, এই প্রাকৃতিক সবলের দুর্বলকে গ্রাস করবার প্রবৃত্তিকে বিপরীতমুখে ঘুরিয়ে দেওয়াই ধর্ম। ঠিক স্বায়ম্ভব মনু যা করেছিলেন, স্নানান্তে তর্পণের সময় গণ্ডুষের জলে আশ্রয় নেওয়া ছোট্ট মাছকে আশ্রয় দিয়েছিলেন তার খাদক বড় মাছের গ্রাস থেকে বাঁচাতে। এতে প্রকৃতির খাদ্য-খাদকের শৃঙ্খল লঙ্ঘিত হয়েছিল বটে কিন্তু ছোট্ট মাছটি মাৎস্যন্যায় থেকে রক্ষা পেয়েছিলো। প্রকৃতি থেকে সংস্কৃতির পথে যাত্রা শুরু হল এইভাবেই, এবং সেই যাত্রাপথটিই হল মানবধর্ম [অনুবাদকের টিপ্পনী – মনুর সন্তান বলেই ত আমরা মানব]। হিন্দু ধর্মশাস্ত্রগুলি তৈরিই হয়েছে বিভিন্ন যুগের সামাজিক প্রয়োজন ও অভিব্যক্তিকে প্রকাশ করবার জন্য, এবং এইভাবেই ভারতীয় সভ্যতার ক্রমোন্নতি ও ক্রমবিকাশ হয়ে চলেছে আদিমকাল থেকে।

তাই সহমর্মিতা এবং পারস্পরিকতাই হল ধর্মের ভিত্তি। হিন্দুধর্মের এই আঙ্গিকটিকে ইউরোপীয় অনুবাদকরা ইচ্ছামতন ও নিজেদের সুবিধামতন রেখে ঢেকে প্রকাশ করেছেন এমনভাবে, যাতে মনে হয়, হিন্দুরা বর্বর ও জঙ্গলের নিয়মনীতি মেনে চলা এক জাতি এবং তাদের মাঝে সভ্যতার আলো পৌঁছে দেওয়া ইউরোপীয়দের পবিত্র কর্তব্য। তাঁরা সহজেই একে একে দুই মিলিয়ে মনুকে বর্ণবাদী বলেছেন, অথচ মনু তাঁর ধর্মশাস্ত্রে এবং চাণক্য তাঁর অর্থশাস্ত্রে বলেছেন, যে ভগবান রাজাকে নিয়োগ করেছেন এই কারণে, যাতে জঙ্গলের মাৎস্যন্যায় সমাজে ঢুকে পড়ে অরাজকতার সৃষ্টি না করে। অর্থাৎ, রাজা ধর্মের সাহায্যে প্রজাদের সর্বপ্রকার অরাজকতা থেকে মুক্ত রাখবেন।

হিন্দুধর্মে পুনর্জন্মের ধারণা থেকেই বিবাহ সংস্কারকে আবশ্যিক করা হয়েছে, যাতে নতুন প্রজন্মের জন্ম দিয়ে মানুষ তাঁদের পিতৃঋণ থেকে মুক্ত হতে পারেন। এইভাবে জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের চাকা ঘুরতেই থাকে, অমৃতত্ব লাভ না করা পর্যন্ত। সে কারণেই, ধর্মশাস্ত্রে ব্রহ্মচর্য ও সন্ন্যাসকে গার্হস্থ্যাশ্রমের থেকে নিচে রাখা হয়েছে। প্রাচীনকালে প্রত্যেক ঋষিকে বিবাহ করতেই হত, অন্তত সন্তানের জন্ম দিতে তো বটেই। কর্দম ঋষি স্ত্রীদের ত্যাগ করেছিলেন সন্তানের জন্মের পর, এটি অন্যায় হলেও তাই মেনে নেওয়া হয়েছে, কারণ তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। এইরকম ব্যতিক্রম থাকলেও সেইসব সন্ন্যাসীদেরই সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হত, যাঁরা নাতি-নাতনিদের মুখ দেখে তবেই সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণ করতেন। আসলে বিবাহ শুধু সন্তান জন্ম দেবার জন্যই তো নয়, এই গৃহস্থ আশ্রম থেকেই সমাজ, প্রতিবেশী, ঋষি, দেবতা, পরিবার, অতিথি, ভিক্ষুক, বিদেশিকে খাবার দেওয়া হয়, এরা সকলেই গৃহস্থীদের উপর আহারের জন্য নির্ভরশীল। তাই গৃহস্থীদেরই সর্বোচ্চ আসন দেওয়া হয়েছে হিন্দুধর্মশাস্ত্রে। তাই ধর্মরক্ষার কারণেই গৃহস্থ আশ্রমের রক্ষা ও পরিপোষণ প্রয়োজন। [অনুবাদকের টিপ্পনী – ক্ষুধার্ত ও অতিথিকে অন্নদান মানবধর্মের ভিত্তি এবং ঋষি ও সন্ন্যাসীদের অন্নদান সাংস্কৃতিক কর্ম, যাতে তাঁরা নিশ্চিন্ত হয়ে উচ্চতর ধারণায় ও ভাবনায় নিমগ্ন হয়ে নিত্য মানব কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে পারেন।]

হিন্দুশাস্ত্র একজন সমকামী মানুষকে কিভাবে গৃহস্থাশ্রমের অধিকার দেয়? ঠিক যেরকম ভাবে নিঃসন্তান রাজা জনককে দিয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই। রাজর্ষি জনক, সীতার পালকপিতা ছিলেন। মৈথিলী সীতা তাই জনকদুহিতা নামেই খ্যাত। আবার অন্যভাবেও একজন সমকামী মানুষ গার্হস্থ্যাশ্রমে প্রবেশ করতে পারেন, যেভাবে ধীবরকন্যার গর্ভ ভাড়া নিয়ে সংসারধর্ম পালন করেছিলেন ঋষি পরাশর। সেই গর্ভে জন্মেছিলেন কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস আর ভাড়ার অর্থে [আশীর্বাদে] মৎস্যগন্ধা থেকে পদ্মগন্ধা হয়ে উঠেছিলেন হস্তিনাপুরের কুরুবংশের ভাবী রাজমাতা সত্যবতী। আবার ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা দেহ বহির্ভূত নিষেকের সুবিধাও নিতে পারেন সমকামী দম্পতিরা, যেমন করে ঋষি বিভাণ্ডকের বীর্য আর উর্বশীর ডিম্বাণু এক হরিণীর গর্ভে স্থাপন করে জন্ম হয়েছিল ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির। পরবর্তীকালে যাঁর দেওয়া পায়েস [আসলে বীর্য] গ্রহণ করে গর্ভ ধারণ করেছিলেন কৌশল্যা, কৈকেয়ী আর সুমিত্রা। এঁদেরই সন্তান রাম, ভরত আর লক্ষ্মণ-শত্রুঘ্ন।

কিন্তু শুধুই কি সন্তান উৎপাদন? জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আনন্দে জীবনযাপনের প্রয়োজনের কি হবে? বৈদিক সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণে একবচন আর বহুবচনের সাথেই রয়েছে দ্বিবচন। কারণ হিন্দু সংস্কৃতিতে জোড় বা যুগলের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র ধর্মশাস্ত্রগুলিতে বন্ধু ও সখা/সখী শব্দের দ্বারা সাধারণ মিত্রের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠতা বোঝানো হয়েছে বারবারই। দেবতারা সবসময়েই যুগ্মভাবে পূজিত হন, এবং সেই যুগলমূর্তিগুলি সবসময়েই যে হেটেরোনর্ম্যাটিভ অর্থাৎ প্রচলিত নারী-পুরুষ সম্পর্কে সম্পর্কিত, এমন নন। ঋকবেদে ইন্দ্র সবসময় অগ্নি বা সোমের সঙ্গে মিলিত হয়ে রয়েছেন। এঁরা কিন্তু তিনজনেই লিঙ্গচিহ্নে পুরুষ। মিত্র আবার বরুণের সঙ্গে যুক্ত থাকেন সকল সময়। [অনুবাদকের টিপ্পনী – বাঙালিরা, মহালয়ার সময় ‘অহম্‌ মিত্রাবরুণোভা’ মনে করুন।] এঁরা দুজনেই পুরুষ। মিত্র আর বরুণ দুজনেই উর্বশীকে দেখে পাত্রের মধ্যে বীর্যপাত করে ফেলেন এবং জন্ম দেন অগস্ত্য এবং বশিষ্ঠের। বিভিন্ন মন্দিরে এবং গৃহপুজায় আমরা অর্চনা করে থাকি বিভিন্ন দেবীযুগলের। তাঁরা হলেন নন্দা-সুনন্দা, চামুণ্ডা-চটিলা, তারা-তারিণী, জ্যেষ্ঠা-কনিষ্ঠা, গঙ্গা-গৌরী প্রমুখ। আগমতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে দেব-দেবীরা নারীপুরুষ যুগল হিসেবেই অধিষ্ঠিত, উদাহরণস্বরূপ হরগৌরী, লক্ষ্মীজনার্দন প্রমুখের কথা বলা যায়। কিন্তু শিব যেমন পার্বতীর সাথে মিলে গিয়ে অর্ধনারীশ্বর রূপে পূজিত হন, তেমনই বিষ্ণুর সাথে মিলে শঙ্কর-নারায়ণ বা হরিহর রূপেও পূজিত হন। মহাদেব শক্তির সাথে মিলিত হয়ে একদিকে গণেশ-কার্তিকের জন্ম দিয়েছেন, তেমনই মোহিনীরূপী বিষ্ণুর সাথে মিলিত হয়ে আইয়াপ্পার জন্মও দিয়েছেন। তন্ত্রমতে, স্বয়ং লক্ষ্মীকে আবাহন করে আনা হয় মোহিনীরূপী বিষ্ণুর উপাসনা করবার জন্য। হিন্দু মন্দির সংস্কৃতিতে হেটেরোনরম্যাটিভিটি কখনোই তাই সেরকম গুরুত্ব পায়নি বা মুখ্য হয়ে ওঠেনি। আমরা এই ছকভাঙা উদাহরণগুলিকে আক্ষরিক বা রূপক দুই হিসেবেই দেখতে পারি, তবে তা নির্ভর করছে বিভিন্ন সামাজিক বৈচিত্র্যকে সাথে নিয়ে চলবার জন্য আমরা নিজেদেরকে কতটা আধ্যাত্মিক শিক্ষায় শিক্ষিত করেছি, তার উপর।

হিন্দু পুরাণ বরাবরই বৈচিত্র্য ও ভিন্নতাকে উদ্‌যাপন করে এসেছে। মেনকার মতন অপ্সরারা গর্ভস্থ সন্তানকে জন্মের পর জঙ্গলে ফেলে এসেছেন, তার পর সেই সন্তানকে পালন করেছেন কণ্বের মতন একক পিতা। [অনুবাদকের টিপ্পনী – শকুন্তলা জন্ম আখ্যান, যাঁর সন্তান ভরত, যাঁর নামে ভারতবর্ষ]। এর মধ্যে হেটেরোনর্ম্যাটিভিটির কোনো ছোঁওয়াই কিন্তু নেই। আবার, বহুপুরুষের বণিতা জটিলা যেমন আছেন, তেমনই আছেন ভৃঙ্গীর মতন পুরুষ, যিনি শক্তিকে ছাড়া একক শিবেরই কেবল পূজা করেন। চৌষট্টি যোগিনীরা স্বামীর তোয়াক্কা না করে যূথবদ্ধ নারী হিসেবেই বিরাজ করেন। নাথ-যোগীরা আবার নারী সঙ্গীর তোয়াক্কা না করে যূথবদ্ধ পুরুষ হিসেবেই অবস্থান করেন। তাই হিন্দুশাস্ত্রে সকলের জন্যই উপযুক্ত সম্মানজনক স্থান রয়েছে, রয়েছে নিঃশ্বাস ফেলার একান্ত পরিসর; শুধু মাথায় রাখতে হবে, সেটা যেন ধর্ম, সহমর্মিতা, পারস্পরিকতা এবং সামাজিক দায়িত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। [এখানে ধর্ম বলতে সত্যকে বুঝতে হবে]। [অনুবাদকের টিপ্পনী – হিন্দুশাস্ত্র সকলের জন্যই গৃহস্থাশ্রমের অধিকার নিশ্চিত করেছে, তা সে সন্তানলাভের জন্যই হোক বা জীবনসঙ্গীর সাথে আনন্দে কালাতিপাতের জন্যই হোক। এখন হিন্দু পারিবারিক ও সামাজিক আইনকেও শাস্ত্রের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করতে হবে ন্যায়বিচার ও সমানাধিকার প্রদানের জন্য।] এখন কালচক্রের সেই সময় এসে গেছে, যখন ভারতীয় বিচারবিভাগকে ধর্মের আহ্বান শুনতে হবে, যাতে ভারতীয় গণরাজ্য নিজেকে ধর্মপথে প্রসারিত করে তার আগ্রহী রামধনু সত্তার নাগরিকদের, আইনানুগ সংসারধর্মের ন্যায়-অধিকারকে অর্জন ও উপভোগ করবার সমান সুযোগ দিতে পারে।

সমস্ত মতামত লেখকের নিজস্ব। অনুবাদক শুধুমাত্র সার্থক ভাবানুবাদের চেষ্টা করেছেন। অনুবাদকের নিজস্ব টিপ্পনী বন্ধনীর মধ্যে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।

— * — *** — * —

ছবিঃ ভুটান

কৃতজ্ঞতাঃ

  • শ্রী পবন ঢাল
  • শ্রী সন্দীপ রায়
  • শ্রী নীলোৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়
  • শ্রী দেবদত্ত পট্টনায়ক

** কাঁচালঙ্কার তরফে বরাবরই বিজ্ঞানমনষ্ক এবং কুসংস্কারবিহীন মনোভাব তৈরিতে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *