— ডিটু বড়াই
রাত ৭.৩০ ,
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এ ট্রেনের বি২ কামরায় বসে দীপ্তনীল আর প্রদীপ্ত | দীপ্তনীল এসেছিল প্রদীপ্ত র কাছে জলপাইগুড়ি তে | প্রদীপ্ত কর্মসূত্রে জলপাইগুড়ি তে থাকে | ওরা একসাথে সান্দাকফু গেছিলো বেড়াতে , আজ দীপ্তনীল কোলকাতা ফিরছে |
” কি হল , মুখ ভার করে আছো কেন ???
“ তুমি তো ক’দিন পর কলকাতা আসছ “
” কতদিন আবার তোমায় দেখতে পাবো না “
” শোনো মনের টান থাকলে না দেখা টা খুব একটা ম্যাটার করে না “
” করে করে, যা তুমি বুঝবে না , আমি তো তোমার গায়ের গন্ধ টা পাবো না “
” তা কি আমি সেটা পারফিউম বানিয়ে রেখে যাবো “
” ধুর , তুমি বুঝবে না “
” কেন বুঝবো না , বলো না “
” নাহ: “
” তুমি কি ভাবো ….. “
এমন সময় হাতঘড়ি জানান দিল ৮ টা বাজে ,
আর ৫ মিনিট …
প্রদীপ্ত আর দীপ্তনীল দুজনেই আর পারছে না …
কিন্তু কি করবে ,
প্রদীপ্ত নামতে যাবে এমন সময় দীপ্তনীল বলল
” শোন , তুমি কি ভাবো , আমার কোন ফিলিং ই নেই ? জানো , তোমায় গায়ের গন্ধটা আমি কলকাতায় বসে ও পাই , তুমি এই যে একদিন ছুঁয়ে থাকলে এই নিয়ে আমি বাকী কদিন কাটিয়ে দিতে পারব । কিন্তু তোমায় সম্পূর্ন করে পাওয়ার জন্যে নিজের পায়ের তলার মাটি টাকে শক্ত করতে হবে যে আমায় । তুমি কি সেটুকু সময় আমায় দেবে না বলো ” ….
প্রদীপ্ত আর কিছু বলল না ,
নেমে যাওয়ার আগে জড়িয়ে ধরে দীপ্ত র কপালে একটা চুমু খেলো ….
ট্রেন ছেড়ে দিল , দীপ্ত তখন ও ঘোরে , সান্দাকফু র সেই রাতটা , ভরা পূর্নিমার আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা আর টেন্টে ওর ঠোঁটে মিশেছে প্রদীপ্ত র ঠোঁট …. স্পীকার এ তখন বাজছিল দীপ্ত র প্রিয় গান ,
” আমি তুমি আজ একাকার হয়ে মিশেছি আলোর বৃত্তে ” …..